ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলের নিকটবর্তী হওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেল থেকে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে হাতিয়া-ঢাকা লঞ্চ চলাচল, হাতিয়া-চট্টগ্রাম, হাতিয়া-ভোলা স্টিমার চলাচল ও হাতিয়া-বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাট সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে হাতিয়ার মেঘনা ও পাশ্ববর্তী বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে, চলছে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। পারাপারে ঝুঁকি থাকায় শুক্রবার বিকেল থেকে সাময়িকভাবে নৌ-চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে দেশের অন্য কোথাও থেকে লোকজন হাতিয়ায় আসতে পারছেন না এবং হাতিয়া থেকে কেউ দ্বীপের বাইরেও যেতে পারছেন না।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু বলেন, মানুষের জানমাল রক্ষায় শুক্রবার বিকেল থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব নৌ-যানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন কে এম শফিউল কিঞ্জল বলেন, বর্তমানে বাতাসের চাপের তারতম্য রয়েছে। সমুদ্র বন্দর ও উপকূলীয় এলাকায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে সকল নৌযানকে নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা বলেন, নোয়াখালী ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় এসেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা ৩ লাখ ৩ হাজার ৬০০ জন। সিপিপির ৮৩৮০ জন এবং রেড ক্রিসেন্টের ৫৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছেন। সকল সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সকল সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।