চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পরিবারের লোকজন তা না করে করোনায় আক্রান্ত ৭৫বছর বয়সী বৃদ্ধ মোজাফফর হোসেনকে বাড়ীতে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের রামবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৫জন। এ দিকে গত ২৪ঘন্টায় মৃত ব্যক্তি ছাড়া জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৭জন।
রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে করোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ফোকাল পার্সন ডা. সঞ্জয় কুমার নাথ জানান, অসুস্থ হওয়ায় গত ১জুলাই হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে যান ঘোষবাগের বাসিন্দা মোজাফফর হোসেন। ২জুলাই ওই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তিনি বাড়ীতে হোম আইসোলেশনে ছিলেন। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫জুলাই কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ১১জুলাই শনিবার তার শারীরিক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের লোকজন উনাকে বাড়ীতে নিয়ে গেলে রাতে তিনি মারা যান। এ নিয়ে উপজেলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫জন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, নতুন করে জেলায় আরও ২৭জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সদরে ৮, হাতিয়া ১, বেগমগঞ্জ ৪, চাটখিল ৫ ও সেনবাগ উপজেলা ৯জন রোগী রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছেন। জেলায় মোট আক্রান্ত ২৫১৪জন। যার মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১৪৮০ ও আইসোলেশনে রয়েছেন ৯৮০জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৭৫১, সুবর্ণচরে ১৬৬, হাতিয়া ৬৩, বেগমগঞ্জে ৬৯৭, সোনাইমুড়ীতে ১৩৮, চাটখিলে ১৪৯, সেনবাগে ১১৫, কোম্পানীগঞ্জে ১৫৬ ও কবিরহাটে ২৭৯জন।