

নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট এরব সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার বহিস্কৃত প্রিন্সিপাল এটিএম ইফতেখার ইসলাম এর নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুর ১২ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা’র বহিস্কৃত প্রিন্সিপাল এটিএম ইফতেখারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ২০০১ সালে এ মাদ্রাসায় নিযুক্ত হন এটিএম ইফতেখারুল ইসলাম। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছরে মাদ্রাসার কোন হিসেব তিনি সঠিকভাবে দিতে পারেননি। মাদ্রাসার সকল আয় ব্যয় এবং খরচ তিনি তার নিজের ইচ্ছেমতো করেন। কোন হিসাব চাওয়া হলে উল্টো তিনি তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করারও অভিযোগ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের শাসনামলে তিনি আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় এসব অনিয়ম ও অর্থ লুটপাট করতেন। কোন শিক্ষক বা মাদ্রাসার গভর্নিং বর্ডির সদস্যরা কিছু বললে তাদেরকেও নানারকম ভয়-ভীতি দেখাতেন।
১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী চাপরাশিরহাট এরব সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা নানা সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু মাদ্রাসার মার্কেট এবং শিক্ষার্থীদের ফি সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আয় হওয়া অর্থ মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যয় না করে তিনি ও তার আওয়ামী দোসররা ভাগ ভাটোয়া করে নিয়ে যেতেন।
২৪ শের আন্দোলনের পর তার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থীরা। সে সময় তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করতে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে টানা লাগাতার অবরোধ ও ধর্মঘট পালন করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২টি তদন্তে দোষী সাবস্ত হওয়ায় তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু অজানা এক চক্রান্তে তাকে আবারও মাদ্রাসায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রী মহল। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার