বজরা শাহী মসজিদ
মসজিদটি নোয়াখালী জেলা থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) উত্তরে বজরা নামক গ্রামে অবস্থিত ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে রয়েছে এ মসজিদের ঐতিহাসিক বজরা শাহী মসজিদ এর অবদান
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দৃষ্টিনন্দন অনেক মসজিদ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনশ’ বছরের পুরনো `বজরা শাহী মসজিদ’। মসজিদটি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা গ্রামে অবস্থিত। মোঘল আমলে আঠারশ’ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়।
১৭৪১-৪২ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল সম্রাট মুহাম্মদ শাহের রাজত্বকালে আমান উল্লাহ কর্তৃক নির্মিত হয় মসজিদটি। ১৯১১ থেকে ১৯২৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে বজরা জমিদার খান বাহাদুর আলী আহমদ ও খান বাহাদুর মুজির উদ্দিন আহমদ মসজিদটি ব্যাপকভাবে মেরামত করেছিলেন এবং সিরামিকের মোজাইক দিয়ে সজ্জিত করেছিলেন। মসজিদটি বর্তমানে ভাল অবস্থায় সংরক্ষিত রয়েছে এবং এটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সুরক্ষিত স্থানগুলির তালিকাতে রয়েছে।
বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে রয়েছে এ মসজিদের রয়েছে ঐতিহাসিক অবদান। দিল্লীর মুঘল সম্রাটরা অবিভক্ত ভারতবর্ষে ৩০০ বছরের বেশি সময় রাজত্ব করেন। এ দীর্ঘ সময়ে মোগল সম্রাট এবং তাদের উচ্চপদের আমলারা বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ইমারত ও মসজিদ নির্মাণ করেন যা আজও স্থাপত্যশিল্পের বিরল ও উজ্জ্বল নির্দশন। এগুলোর মধ্যে “বজরা শাহী মসজিদ” একটি।
অবস্থান
মসজিদটি নোয়াখালী জেলা থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) উত্তরে বজরা নামক গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটির চারপাশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা, মসজিদে প্রবেশকরার পথটি পূর্ব দিকে। মসজিদটি দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বে উঁচু ভিত্তির ওপর নির্মিত।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়কপথে বাসে যেতে হবে নোয়াখালীর মাইজদী। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৩৫০-৪৫০ টাকা। নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সাযোগে বজরা হাসপাতালের সম্মুখে নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে ২০০ গজ পশ্চিমে গেলে বজরা শাহী মসজিদে পৌঁছানো যাবে।
থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
থাকার জন্য নোয়াখালী শহরে রয়েছে আবাসিক হোটেল। একই সাথে খাবার সুবিধাও রয়েছে সেখানে।