মো,তারেক পাঠান, নরসিংদী নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মাদ্রাসা সংলগ্ন অবস্থিত বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আ.ক.ম রেজাউল করিমের একক সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ছয় মাস যাবত মসজিদে নামাযের পর দোয়া মোনাজাত বন্ধ। তার এই একক সিদ্ধান্তের ফলে ৬ মাস যাবত ইমাম মোয়াজ্জিনের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় দোকানদার ও এলাকাবাসী। ফলে মানবেতর জীবন করছেন মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর জানান, বাপ দাদার আমল থেকে এই মসজিদে নামায আদায় করে আসছি। আজ পর্যন্ত কোন দিন নামাযের পর মোনাজাত বন্ধ হতে দেখিনি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আ.ক.ম রেজাউল করিম এ কমিটিতে আসার কিছু দিন পর থেকেই নামাযের পর মোনাজাত বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করলে ওনি আমাদের বলেন, এটা মাদ্রাসা মসজিদ। যার মনে চায় আসবে যার মনে না চায় না আসবে। আর বেশি প্রশ্ন করলে তিনি স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ভয় দেখান। তাই দোকানদার ও এলাকাবাসী মাসিক চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির একাংশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আ.ক.ম রেজাউল করিমের একক সিদ্ধান্তে ছয় মাস যাবত নামাযের পর মোনাজাত বন্ধ। তাই দোকানদার ও এলাকাবাসী চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতন দিতে পারছি না। মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম জানান, ৬ মাস যাবত কোন বেতন ভাতা পাচ্ছিনা। খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। মসজিদের মোয়াজ্জিন জসিম উদ্দিন জানান,মসজিদের সভাপতি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে মতবিরোধ থাকায় ছয় মাস যাবৎ কোন বেতন ভাতা পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আ.ক.ম রেজাউল করিম জানান,যা করেছি কোরআন হাদিসের আলোকে করেছি। এখানে আমার কোন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নাই।