নোয়াখালীতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ
- আপডেট: ০৭:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
- / 106
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের কর্মী-সমর্থকদের লাগানো জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির ছবিযুক্ত ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (০১ জুলাই) ও রোববার (০২ জুলাই) দিবাগত রাতে জেলা শহর মাইজদী, দত্ত বাড়ির মোড়, দত্তের হাট, সোনাপুর, কালিতারা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে জেলা শহর মাইজদীসহ সদর ও সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শত শত ফেস্টুন প্রদর্শন করে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের কর্মী-সমর্থকরা। ওই ফেস্টুনগুলোতে শাহিনের ছবি ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছবি যুক্ত ছিল। ফেস্টুনগুলো লাগানোর পর গত শনিবার বিবাগত রাত ও রোববার রাতে জেলা শহর মাইজদী, দত্তবাড়ির মোড়, দত্তের হাট, সোনাপুর, কালিতারা বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের ২০টিরও বেশি ফেস্টুন কেটে ও ছিঁড়ে ফেলে দুবর্ৃৃত্তরা।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জেলা শহরজুড়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। সেই ক্ষেত্রে কারো জনপ্রিয়তা বেশি, হয়তো কারো কম। কিন্তু কারো জনপ্রিয়তা দেখে, তাঁর ফেস্টুন কেটে নিবে, ছিঁড়ে ফেলবে, এটা কেমন রাজনীতি। ওই ফেস্টুনগুলোতে তো আমাদের জাতির পিতা ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের এর ছবিও ছিল। তারা (দুর্বৃত্তরা) তাঁদের ছবিও বাদ দেয়নি। তাঁদের ছবির মাঝখান দিয়ে কেটে নিয়েছে। আমরা এমন প্রতিহিংসার রাজনীতি চাই না। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি কাটতে যারা কোন পরোয়া করে না, তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।
জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন কর্মীরা লাগাবে, এটা তাদের নেতাদের প্রতি ভালোবাসা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জিবিত আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি, তাই আমাকে দলের ভিতর অনেকেই পছন্দ নাও করতে পারেন। তাই বলে এভাবে বঙ্গবন্ধু ও আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমাদের আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের ছবি কেটে নিবে? তাঁেদর ছবি ঁিছড়ে নিচে ময়লার মধ্যে ফেলে দিবে? এটা কেমন রাজনীতি? কারা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করলেই বের হয়ে আসবে। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি তারা এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
এবিষয়ে জানতে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।