অটোরিকশা চালককে জবাই করে হত্যা: আরেক আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব
- আপডেট: ১২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
- / 153
নোয়াখালী সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার ঘটনার আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এর আগে, ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ৮ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার মো.ওমর ফারুক (৩০) সদর উপজেলার ১৯নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মাকসুদুর রহমানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। একই দিন রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে নিহত সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমের শক্রতা ছিল।পরিকল্পনাকারী শক্রতার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজি অটোরিকশার মালিক মহিনকে ব্যবহার করা হয়। ঘটনার দিন রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা হিসেবে মহিম তার বাড়িতে কামাল, রিপু, মোমেন, নূর আলমসহ আরও কয়েকজনকে (তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না) নিয়ে অবস্থান করে। মহিন আব্দুল হাকিমকে অটোরিকশা রাখার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর হাকিম অটোরিকশা জমা দেওয়ার সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অজ্ঞাত নামা আরও ৪-৫জন মিলে তার মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে সব আসামিরা হাকিমকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পেছনের ডগির ভেতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামি মহিমের সঙ্গে ৪ লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রুবিনা বেগম ১০জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা ১৫-২০জনের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ প্রক্ষিতে র্যাব-১১ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে প্রাপ্ত আসামি ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।